চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেছেন- প্রকৃতির অফুরন্ত সম্পদ সমৃদ্ধ চকরিয়ার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। চকরিয়া তথা কক্সবাজার অঞ্চলকে ঘিরে সরকারের বর্তমান মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওযার পর চকরিয়া-কক্সবাজার হয়ে ওঠবে শুধূ বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। তিনি গত ৮ এপ্রিল চকরিয়া সমিতি, চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে দি কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ১৩ তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অথিতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি সমাজ সেবায় চকরিয়া সমিতির অবদানের উচ্চসিত প্রশংসা করে বলেন- এ ধরণের সামাজিক সংগঠন আছে বলেই আমরা এখনো সকল দল-মতের সব মানুষ এক জায়গায় বসে পরস্পর ভাব বিনিময় করতে পারছি। সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব সেতারা গাফফার চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। দীর্ঘ এক মাসেরও বেশী সময় ধরে চলে এ সম্মেলনের প্রস্তুতি। ৮ এপ্রিল সকাল ১০ টা হতে দি কিং অব চিটিাগাং এ জনসমাগম শুরু হতে থাকে। জীবন-জীবিকার তাগিদে আপনালয় ছেড়ে বন্দর নগরীতে বসবাসকারীরা প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও মিলিত হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন। অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. দীপংকর দাশ, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল মোঃ জিয়াউদ্দীন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য করম উদ্দিন আহামদ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান সাফিয়া বেগম শম্পা, মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ সানা উল্লাহ্্, চট্টগ্রাম রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক আতাউল হক, চকরিয়া সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন কন্ট্রাক্টর, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম. হামিদ হোছাইন, সমিতির সদস্য মোবারক আলী ও এনামুল হক বেলাল বক্তৃতা করেন। সভায় বিভিন্ন খাতে অবদানের জন্য বিভিন্ন জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পাঠকের মতামত: